মৌলভীবাজার থেকেঃ বেঙ্গল সুইট ফুডে মাছি এবং মৌমাছির বিরামহীন খেলা দেখে, এই প্রতিবেদক সুইট কেনার কথা ভুলে গিয়ে রেস্টুরেন্টে বসা ম্যানাজারকে গুটি কয়েক প্রশ্ন করতে’ই বের হয়ে এলো তাদের খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত অজ্ঞতার কথা।
বেঙ্গল ফুড গ্রুপের বেঙ্গল সুইট ফুড জেলা মৌলভীবাজারে একটি অভিজাত মিষ্টান্নজাত খাদ্য সামগ্রীর জনপ্রিয় প্রতিষ্টান, এটি সদর মৌলভীবাজার সহ আশপাশ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার অন্যান্য থানায়ও রফতানি করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে বেঙ্গল ফুড মৌলভীবাজারে এতটাই ক্রেতা সমাদৃত হয়ে উঠেছে যে, দেখাগেছে এই এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বেঙ্গল ফুডের পণ্য ক্রয় করে থাকেন।
গত ৬ই ডিসেম্বর ২০১৬ইং রোজ বুধবার বেঙ্গল সুইট ফুডের বিক্রয়কেন্দ্র সদর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রোডস্থ দোকানে গেলে, সেখানে বেঙ্গল সুইট ফুডে মাছি এবং মৌমাছির বিরামহীন খেলা দেখে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশটি পেশায় একজন ফুড কোয়ালিটি কন্ট্রলার এই প্রতিবেদককে একটি বড় প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়।
সেদিন বেঙ্গল সুইট ফুডের পণ্য কিনতে গিয়ে দেখা গেলো রসগোল্লার উপর মাছি – মৌমাছির বিরামহীন খেলা।
ষ্টোরের সামনে বসা ম্যানাজার সাহেব কাষ্টমারদের সাথে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন।অগ্রদৃষ্টি থেকে এসেছি বলে ব্যস্ততার এক ফাঁকে একটু সময় চেয়ে নেয়া হলো।
অগ্রদৃষ্টিঃ ম্যানাজার সাহেব আপনি কি দেখেছেন যে, অগণিত মাছি – মৌমাছি সুইটের উপর বসে বেশ রাজত্ব কায়েম’ই শুধু নয় রীতিমতো ওরা বিরামহীন খেলা করে চলেছে?
ম্যানাজারঃ না স্যার ঐসব মৌমাছি সুইটের উপর বসলেও কোন ধরনের সমস্যা হবেনা।
অগ্রদৃষ্টিঃ ব্যাকটেরিয়া কি এবং সেটি কোথা থেকে ছড়িয়ে থাকে সে সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে?
ম্যানাজারঃ না স্যার।
যাদের ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে নুন্যতমও ধারণা নেই; তাদেরকে খাদ্যে মাছি- মৌমাছির সংস্পর্শে কি ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে থাকে সেটি বুঝানো কষ্টকর ও দুরূহ ব্যাপার।
এমতাবস্থায় বোধকরি সঠিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকদের এবিষয়ে অনতিবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, তবেই শুধু মৌলভীবাজার বাসি’ই না এর পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশের খাদ্য বিক্রয়কেন্দ্র গুলো এ থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।